১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে উৎপাদিত শস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শস্য হচ্ছে ধান। ধান ওপাঠের পরেই আলু, মাছের স্থান। এরপরে যেসব কৃষিজাতদ্রব্যের নাম করতে হয় সেগুলো হচ্ছে মাসকলাই, মটর, ছোলা ইত্যাদি ডাল জাতীয় শস্য। তৈল বীজের মধ্যে রয়েছে সরিষা। এখানকার উল্লেখযোগ্য ফল হচ্ছে কলা, তরমুজ, ক্ষীরা ইত্যাদি। এছাড়াও এই জেলায় আম, জাম,কাঁঠাল, পেয়ারা, নারিকেল, সুপারি, তাল, খেজুর, জাম্বুরা (বাতাবি লেবু), লেবু, তেঁতুল, কামরাঙ্গা, জলপাই, বেল, ডালিম, আত ইত্যাদি ফলও প্রচুর পরিমানে উৎপন্ন হয়। মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, ধনে, আদা ইত্যাদি মসলা জাতীয় শস্য, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, উচ্ছে, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ধুন্দুল, শিম, বরবটি, কাকরল, ঢেড়শ, গোল আলু, বেগুন, টমেটো ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবজি প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত হয়।
ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য কৃত্রিম প্রজনন এর প্রয়োজন হয় না। এসব প্রাকৃতিক ভাবে প্রজনন ঘটে। কিন্তু গবাদীপশু প্রজননের জন্য কৃত্রিম প্রজনন প্রয়োজন হয়। ইউনিয়নের বৈরাতীহাটে হাইস্কুলের পাশে একটি কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র আছে।
কৃত্রিম প্রজননের উদ্দেশ্যঃ
১.কম সময়ে গরুর জাত উন্নত করা।
২. অধিক কর্মসংস্থানের সুবিধা।
৩.দুধ ও মাংসের ঘাটতি পুরন করা।
৪. আমিষ খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
কৃত্রিমপ্রজননের সুবিধা
১. একটি ষাঁড় থেকে প্রতিবারের সংগৃহিতবীর্য প্রক্রিয়াজাত করে ৩০০-৪০০টি গাভীকে প্রজনন করা যায়।
২. গাভীরগর্ভধারনের হার বৃদ্ধি পায়।
৩. বেশি ষাঁড় পোষার দরকার হয়না,ফলে ব্যয়হ্রাস পায়।
৪. ভিন্ন ভিন্ন জাত বা প্রজাতির মধ্যে প্রজনন করে উন্নতজাত তৈরী করা যায়।
৫. উন্নত জাতের ষাঁড়ের বীর্য ব্যবহার করে ভালজাতের গরু পাওয়া যায়।
কৃত্রিম প্রজননের অসুবিধা
১.দক্ষ লোক দরকার হয়।
২. সুক্ষ ভাবে গরমের সময় নির্ণয় করতে হয়।
৩.ঠিকমতষাঁড়ের বীর্য বাছাই নাহলে কৃত্রিম প্রজননের উদেশ্য ব্যহত হয়।
৪. গরমগাভী সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রজননে গাভীর উপযুক্ত বয়স
১.দেশী জাতের বকনা প্রথম প্রজননের উপযুক্ত হয় ২-২.৫ বছর বয়সে।
২.উন্নত সংকর জাতের বকনা প্রথম প্রজননের উপযুক্ত হয় ১.৫-২ বছর বয়সে।
গাভী গরমহওয়া বা ঋতুকালের লক্ষন
১.গাভীর অস্থিরতা বাড়ে এবংগাভী ঘন ঘন ডাকে।
২. ঘন ঘন প্রস্রাব করে এব গাভীর দুথ কমে যায়।
পশুগর্ভবতী হওয়ার লক্ষন
১. ঋতু চক্র বন্ধ হয়ে যায়।
২.গাভী আর ডাকে আসে না বা গরম হয়না
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস